যুক্তরাষ্ট্রের
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র নির্ধারিত সময়সূচীর ১২ বছর আগেই অর্থাৎ ২০২১
সালের মধ্যেই মঙ্গলে নভোচারী পাঠানোর উপায় সংবলিত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন
করেছে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই অংশে বিভক্ত একটি
ছোট্ট যানে করে ৩ জন ক্রু মঙ্গল অভিযানে যেতে পারবে এবং পৃথিবীতে ফিরেও
আসতে পারবে।
উল্লেখ্য যে নাসা ২০৩৩ সালের মধ্যে লাল গ্রহটিতে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
লন্ডন টিমের প্রধান- অধ্যাপক টম পাইক এর ভাষ্যমতে এই অভিযান হবে আগামী
দিনে মহাশূন্যে মানবজাতির গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ এবং এটা একুশ শতকের জন্য
নীল আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন’দের সৃষ্টি করবে।
অধ্যাপক পাইক ‘দ্য
সান’ পত্রিকায় একটি নিবন্ধে লিখেছেন, “আমরা এমন একটি অভিযানের ধারনা সাথে
নিয়ে এসেছি যেখানে মানুষের সাথে রোবটও ব্যবহার করা হবে। পৃথিবীতে ফিরে আসার
জন্য রোবটের সঙ্গী করে একটি রকেট মঙ্গলের উত্তর সমভূমিতে পাঠানো হবে… কোন
জ্বালানী ছাড়াই!…. খালি ট্যাঙ্ক পাঠানোর কারনে উৎক্ষেপনের সময় বিপুল পরিমান
ভার কমানো যাবে। জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে রোবটেরা মঙ্গলের বরফ খনন করবে।
বরফ গলে গেলে আমরা জ্বালানী ট্যাঙ্ক পূর্ণ করার জন্য সৌরবিদ্যুত ব্যবহার
করে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উৎপন্ন করতে পারবো। যদি হাইড্রোজেনের সাথে
বায়ুমন্ডলের সমন্বয় করে শক্তিশালী মিথেন তৈরি করা যায় তাহলে আরও ভাল হয়”।
পৃথিবী থেকে মঙ্গলে পৌঁছতেই লাগবে ৯ মাস সময়। এই দীর্ঘ ভ্রমনে ওজনহীনতা
অনুভব করার কারনে শরীরের পেশিগুলো যেন দুর্বল হয়ে না যায় এবং হাড়গুলি যেন
ভঙ্গুর হয়ে না যায় সেজন্য মহাকাশ যানটিতে কৃত্রিম মহাকর্ষের ব্যবস্থা করা
হবে।
অধ্যাপক পাইক বলেছেন, “মহাকাশ যানটিকে দুই অংশে বিভক্ত করে
একটি শিকলের দ্বারা বেঁধে দেওয়া হবে এবং এরা একে অপরের সাথে পাক খেতে
থাকবে। পাক খাওযার গতি সঠিক পরিমানের হলে তারা ভ্রান্তির ছলে মহাকর্ষ বল
অনুভব করবে”।
মঙ্গলে অবতরণের পর সেখান থেকে ফিরতি রকেট ধরার জন্য
নভোচারীদেরকে আরও ১৬০০ কিলোমিটার উত্তরে যাত্রা করতে হবে যেখানে রোবটেরা
জ্বালানী সম্বৃদ্ধ করে ফিরতি রকেটকে প্রস্তুত করে রাখবে।
এমন একটি পরিকল্পনা সত্যি সত্যিই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে তা হবে মানবজাতির ইতিহাসে নতুন এক মাইলফলক।
এই সম্পর্কিত আর কিছু লেখা--- :
তথ্য
পদার্থ বিজ্ঞান
বিজ্ঞান
ভবিষ্যৎ কথা
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন