marsউদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারতের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ISRO
(ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশন) আগামী অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ মঙ্গল
গ্রহ অভিযানের এক উচ্চবিলাসী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। লাল গ্রহটিতে প্রাণের
অস্তিত্বের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ISRO এর ব্রান্ডিং প্রসারের লক্ষেই
অনুসন্ধানী স্যাটেলাইট পাঠানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পুরো
এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিগ ব্যাং’।
PSLV-XL (পোলার
স্যাটেলাইট লাঞ্চ ভেইকল) নামের একটি উৎক্ষেপন সিষ্টেম হতে ‘মার্স অরবিটার
মিশন (MOM)’ নামের মহাকাশযানে সওয়ার করে স্যাটেলাইটটি পাঠানো হবে। এটাই হবে
সৌরজগতের কোন গ্রহে ভারতের পাঠানো প্রথম মহাকাশ যান। নির্ধারিত সময়ে
উৎক্ষেপিত হলে, আগামী ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মহাকাশ যানটি মঙ্গলের কক্ষপথে
পৌঁছাবে।
ISRO অফিসিয়াল সূত্রে জানা গেছে, এই স্যাটেলাইটটিতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মোট ১৫ কেজি ওজনের ৫ টি বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামাদি থাকবে।
এই ৫ টি যন্ত্রের মধ্যে, লিম্যান অলফা ফটোমিটার(LAP), মঙ্গলের
ডিউটেরিয়াম/হাইড্রোজেন সম্বৃদ্ধ ঊর্ধ বায়ুস্তরের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসার
উপায় খুঁজবে। মিথেন সেন্সর ফর মার্স (MSM) মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের
এক্সোস্ফিয়ার স্তরে মিথেন গ্যাসের অনুসন্ধান করবে। বায়ুমন্ডলের ঊর্ধ স্তরে
নিরপেক্ষ সংমিশ্রনের তথ্য জানার কাজ করবে মার্সিয়ান এক্সোস্ফিরিক কম্পজিশন
এক্সপ্লোরার (MENCA)। মার্স কালার ক্যামেরা (MCC) ছবি তোলা কাজ করবে। আর
টিআইআর ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার (TIS) মঙ্গলপৃষ্ঠের গঠন ও খনিজ সম্পদের হদিস
বের করবে।
এত বড় রকমের একটি অভিযানে কিরকম প্রযুক্তিক
প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়, এই মিশনটি ভারতের মহাকাশ গবেষণা
প্রতিষ্ঠানকে তা বুঝতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এই সম্পর্কিত আর কিছু লেখা--- :
তথ্য
বিজ্ঞান
ভবিষ্যৎ কথা
মহাকাশযান
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন