চারপাশের বিস্তৃতিকে বুঝি যেখানে বস্তু সমুহ অবস্থান করে। স্থানের গঠন
জানার বা বুঝার সময় সবার নেই। আর সময় বলতে সাধারন মানুষেরা শুধুমাত্র অতিত
বর্তমান আর ভবিষ্যৎ কেই বুঝে। কিন্তু সময় কি ? অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যতের
অর্থ কি ? স্থানের এবং সময়ের গঠনই বা কিরকম ? এমন পশ্নের উত্তর সচরাসর সবাই
খুঁজেন। গত বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের
বিকাশ ঘটতে থাকে। এরপর বিজ্ঞানীদের মনে সময় ও স্থান সম্পর্কিত সবচেয়ে
গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রশ্নটির উদ্ভব হয়; সময় ও স্থান কিভাবে বস্তুর সাথে
মিথষ্ক্রিয়া করে? সেই থেকে চলছে মহাবিশ্বের মৌলিক উপাদান স্থান এবং সময়
নিয়ে বিস্তর গবেষণা। তত্ত্বীয়
ভাবে আমরা জানি যে, বিগ ব্যাং এর পূর্বে স্থান-কালের কোন আস্তিত্ত্ব ছিলনা।
তাহলে কিভাবে এরা তৈরি হল? কোয়ান্টাম মহাকর্ষের দ্বারা প্রভাবিত প্রাথমিক
অবস্থায় কিভাবে স্বাভাবিক স্থান-কালের সৃষ্টি হল তা জানতে বছরের পর বছর ধরে
পোল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অব ওর্য়াশ’ এর পদার্থবিজ্ঞান অনুষদের
তাত্ত্বিকেরা গবেষণা চালিয়েছেন। সম্প্রতি এখানকার ব্যাখ্যা
বিশ্লেষণে এক আশ্চর্যজনক তত্ত্ব বেরিয়ে এসেছে- ‘সকল মৌলকণিকা একই
স্থান-কালের সাথে জড়িত নয়’। অধ্যাপক- জেরি লেয়ান্ড্সকি’র গবেষণা দলটি
কোয়ান্টাম মহাবিশ্বের এক নতুন মডেল প্রস্তাব করেছেন। কয়েকশ’ কোটি
বছর আগে, বিগ ব্যাং এর একদম শুরুতে মহাবিশ্বের ঘনত্ব এতটাই বেশি ছিল যে,
মৌলিক কণিকাসমুহের উপর প্রবল মহাকর্ষীয় বল ক্রিয়ারত ছিল। কয়েক দশক ধরে সারা
বিশ্বের পদার্থবিদেরা মহাবিশ্বের বিবর্তনের এই পর্যায়ের ঘটনাবলী বর্ননা
করার জন্য কোয়ান্টাম মহাকর্ষের নিয়মগুলো আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন।
অধ্যাপক জেরি লেয়ান্ড্সকি’র গবেষণা দলটির প্রস্তাবিত নতুন এই তত্ত্ব
অনুযায়ী স্থান-কাল কাঠামোগত ভাবে কাপড়ের সদৃশ। ভিবিন্ন ছিদ্রে জড়িত বিপুল
সংখ্যক অতি ক্ষুদ্র তন্তু দ্বারা এরা গঠিত হয়। একটি এক বর্গ সেন্টিমিটারের
ক্ষেত্র জুড়ে এরকম ১০^৬৬ টি তন্তু থাকতে পারে। যার ফলে ভিন্ন ভিন্ন মৌল
কণিকা ভিন্ন ভিন্ন স্থান-কাল অনুভব করে।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন