শূন্য ত্বরণের অভিজ্ঞতা নেয়া বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তার পুরোটা কর্মজীবন মহাবিশ্বের অলংকরণে নিয়োজিত রেখেছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, স্থানের অনবরত প্রসারণ মানব জাতির জন্য মোটেও সুখকর সংবাদ নিয়ে আসবে না। "জীবন যতোই কঠিন হোক না কেন, সফল হওয়ার মতো অনেক কিছুই করার আছে"-- বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং
“জীবন যতোই কঠিন হোক না কেন, সফল হওয়ার মতো অনেক কিছুই করার আছে” — বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং
৭১ বছর বয়সী হকিং মনে করেন, আগামী ১০০০ বছরে মানব জাতির অস্তিত্ত্ব থাকবে না, যদি না তারা নশ্বর এ পৃথিবীর বিকল্প খুঁজে পায়। ইংরেজ এই পদার্থবিদ গত মঙ্গলবার সিডার্শ সাইনাই মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার ও নার্সদের এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন। সে সময় তিনি একটি স্টেম সেল ল্যাবরেটরি উদ্ভোধন করেন।
আজ থেকে ৫০ বছর আগে স্টিফেন হকিং ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় মটর নিউরন নামের এক নিউরোলজিকাল রোগে আক্রান্ত হন। এর ফলে তার পুরো শরীর অচল হয়ে গেলেও সফলতার সাথেই তিনি তার পড়াশুনা চালিয়ে যান এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, তিন বেশ সফলভাবেই তার গবেষোণা কর্ম চালিয়ে এসছেন এবং নিজেকে পদার্থবিদ্যার এক শক্তিমান বিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি কখনো বুঝতে পারেন মহাবিশ্ব কিভাবে পরিচালিত হয়, তবে আপনি নিজেই তা কোন না কোনভাবে পরিচালনা করতে পারবেন”।
স্টিফেন হকিং কৃষ্ণ গহ্বর (ব্ল্যাক হোল) ও কসমসের উৎপত্তি তত্ত্ব প্রদানের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও তাঁর বিখ্যাত বই ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’-এর মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার রহস্যময় ভরের ধারণা তাঁকে এনে দিয়েছে পদার্থবিদ্যার অন্যতম সেরা বিজ্ঞানীর খেতাব। বইটি সারা বিশ্বে প্রায় ১ কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। সিডার্শ সাইনাই মেডিক্যাল সেন্টারে তাঁর ১ ঘন্টাব্যাপী দীর্ঘ বক্তব্যকে ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব মাইন’ বা ‘আমার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ বলে নামকরণ করেছেন।
তিনি বলেন, “জীবন যতোই কঠিন হোক না কেন, সফল হওয়ার মতো অনেক কিছুই করার আছে”।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্টিফেন হকিং-কে তার কর্মের জন্য ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রীডম’-এ পুরষ্কৃত করেন।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন