আমরাই
কি এই বিশাল মহাবিশ্বর একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী? কিংবা, পৃথিবী ছাড়া কি আর কোথাও প্রানের অস্তিত্ব নেই? মানুষের মনে উদ্ভুদ এসব প্রশ্ন অনেক প্রাচিন। কিন্তু এসব প্রাচিন প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। আর মানুষ স্বভাবগতভাবেই কৌতূহলী প্রাণী। যার কারনেই আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর খুজে ফিরেছি।
মানুষের
এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই আরো অনেক প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। তার সাথে কিছু কুসংস্কারেরও উদ্ভুদ হয়েছে। যখনই ভিনগ্রহের প্রাণীর কথা আসে তখনই মানুষের মনে একইসাথে যেমন রহস্য,রোমাঞ্চ জন্ম হয় তেমনই জন্ম হয় ভয়ভীতির। কারন এলিয়েনের কথা উঠলেই সেখানে আর যেসব কথা উঠে তা হল, তারা দেখতে কেমন? তারা কি আদৌ দৃশ্যমান নাকি কোন অদৃশ্য সত্ত্বা? তাদের আকার কি বিশাল নাকি এতই খুদ্র যে খালি চোখে দেখা যায় না? তারা কঠিন,তরল নাকি গ্যাসীয়? তাদের বুদ্ধিমত্তা আমাদের থেকেও অনেক উন্নত নাকি নির্বোধ? তারা কি আমাদের সাথে আদৌ বন্ধুত্বপূর্ণ নাকি ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্মক? এরকম বহু প্রশ্ন ভিনগ্রহের প্রাণী সম্বন্ধে উঠে।

তাছাড়া
আমাদের পৃথিবীর একটি আশ্চর্য বস্তু পিরামিডের সাথে এলিয়েনের অনেক গাল গল্প রয়েছে। যেমন,
অনেকে বলে থাকেন যে এলিয়েনেরা এসে পিরামিড তৈরি করে দিয়েছে বা এর প্রযুক্তি দিয়ে গেছে। এই কথায় মানুষের যোগ্যতাকে খাটো করে দেখা হয়। তবে কথাটা কিন্তু চট করে ফেলে দেবারও নয়। কারন পিরামিড আজ থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার(৪,৫০০) বছর আগে তৈরি করা হয়েছে। তাই এখনের প্রযুক্তি ও সেই সময়ের প্রযুক্তির তুলনা করলেই ব্যাপারটা অনেক পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। কারন আমরা জানি কোন এক কারনে পৃথিবীর বিখ্যাত এক লাইব্রেরী পুড়িয়ে দেয়া হয়। এবং তখন থেকে পৃথিবীতে জ্ঞানের চর্চা বন্ধ ছিল এবং সভ্যতা উল্টো দিকে চলেছে। এ অবস্থা এক হাজার(১,০০০) বছর বিদ্যমান ছিল। তাই এর আগে সেই সময়ের প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান কেমন ছিল সে সম্বন্ধে আমাদের কোন ধারনাই নেই। এই কারনেই এলিয়েনের অস্তিত্ব যেমন বিশ্বাস করা যায় না, তেমনই অবিশ্বাস করাও কঠিন।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন