আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!!

আমরা কোন স্প্যাম পাঠাবোনা। ওয়াদা।

বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০১৪

একটু খানি ফিজিক্স: ডার্ক মেটার



মহাবিশ্বে ডার্ক ম্যাটারের অবস্হান নিয়ে গবেষনা ১৯৩০ সালের কিছু আগে পরে। তখন থেকেই ধরনা করা হয় মহাকাশে যতটা না বস্তু দৃশ্যমান তার চেয়ে বেশী পরিমানে আছে ডার্ক ম্যাটারের সংখ্যা। তবে মেইন সমস্যা হলো এসব অদৃশ্য বস্তু চোখে না দেখে শুধু এদের থেকে নির্গত রশ্নি বা কণা সমূহের উপর ভরসা করে।
ধরা যাক একটা বিশাল দৈত্যাকৃতির গ্যালাক্সিগুচ্ছ যাদেরকে দেখতে হলে বিশাল একটা অপ্টিক্যাল টেলিস্কোপের সাহায্য নেয়া হলো। এখানে দেখা গেলো গরম, অস্হির প্রকৃতির গ্যাস সমূহ যাদের অবস্হান গ্যালাক্সি গুলোর মধ্যে, তাদেরকে দেখার জন্য নাসার চন্দ্র এক্সরে স্যাটেলাইটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। কিন্তু বর্তমান রাজত্বে এক গুচ্ছ গ্যালাক্সির তৃতীয় কোনো অদৃশ্য মাত্রা বিদ্যমান থাকতে পারে যেটা হলো সেই রহস্যময় ডার্কম্যাটার যা অশেপাশের গ্রহ বা গ্রহানুগুলোকে শুষে ফেলে। এখানে অনেক প্রশ্ন করতে পারে, এসব পদার্থ গুলোকে গিলে ফেলা হলে এগুলো কোথায় যায়?ইভেন্ট হরাইজনে গিয়ে সিঙ্গুলারিটির পর্যায়ে এসব শুষে ফেলা এলিমেন্ট এর কি অবস্হা হয়, তার ব্যাখ্যা কি? এগুলো আপাতত প্রশ্নই থাক পরে কোনো এক পোস্টে এটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে!
এখানে আমার বিষয়টা হলো এগুলো আমি কিভাবে দেখতে পারি, যে বস্তু আলোর কনাকে পর্যন্ত শুষে নেয় তাদের নির্ণয় করার জন্য কিসের সাহায্য নেয়া যায়!
যাই হোক আমরা হয়তো টাইম ডায়ালেশন সম্পর্কে শুনে থাকবো, যদিবা না শুনি তাহলেও অসুবিধা নাই! ধরা যাক একটা ধাতব বুলেট ছোড়া হলো। স্বাভাবিক ভাবে বিনা বাধায় এটা সোজা পথেই যাবে কিন্তু এটাকে যদি মাঝপথে কোথাও শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ডের পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে বুলেটটির গতি পথ একটু বেকে যাবে। এটা ম্যাগনেটিক ফিল্ডের যত কাছ দিয়ে যাবে এর বেকে যাওয়াটা ততটা প্রমিন্যান্ট হবে কেন্দ্রের দিকে। তাহলে এক সাথে অনেক গুলো বুলেট আলাদা আলাদা পিস্তল থেকে একই সাথে ছোড়া হলে দেখা যাবে ঐ ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কাছে দিয়ে যাবার সময় কিছুটা বাক নেবে এবং বুলেটের গতিপথ গুলো কেন্দ্রের দিকে ঝুকে যাবে। ডার্ক ম্যাটারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে যখন বুলেটের গতিপথকে আমরা আলোর সাথে তুলনা করি। তাহলে ডার্কম্যাটার সনাক্ত করার একটা উপায় পাওয়া যেতে পারে যখন দেখা যাবে তার পিছনে থাকা নক্ষত্র গুলোর আলো গুলো খুব কাছাকাছি দেখা যাবে যেটাকে আমরা অপ্টিক্যাল ইলউশন বলতে পারি!
এটাকে আসলে "উইক লেন্সিং" হিসেবে বলা যেতে পারে যা এখন খুব উন্নততর টেক হিসেবে ধরা যায়!