আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!!

আমরা কোন স্প্যাম পাঠাবোনা। ওয়াদা।

সোমবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৩

যুক্তরাষ্ট্রেই ফাটতে পারত পরমাণু বোমা

easy_buster

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ফাটতে পারত পরমাণু বোমা। আর এটি হতে পারত হিরোশিমার বিস্ফোরণের থেকে ২৬০ গুণ বেশি শক্তিশালী। নতুন করে লিখতে হতো ইতিহাস। কিন্ত্ত বোমার একটিমাত্র স্যুইচ কাজ না করায় অনাকাঙ্ক্ষিত সেই বিপর্যয়ের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এতদিন মার্কিন প্রশাসনের চরম গোপনীয়তায় সংরক্ষিত ছিল ওই দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি। কিন্ত্ত নিজের লেখা বই ‘কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল’-এ সেই দুর্ঘটনার কথা প্রকাশ করলেন এরিক স্লোসার। এরিক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সানডিয়া গবেষণাগারে পরমাণু অস্ত্রের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত।
এরিকের দেয়া তথ্য মতে- সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ তখন চরমে। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চলছে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। ১৯৬১ সালের ২৩ জানুয়ারি দু’টি মার্ক-৩৯ হাইড্রোজেন বোমা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে নর্থ ক্যারোলিনার উপর দিয়ে উড়ছিল মার্কিন বায়ুসেনার একটি বি-৫২ বিমান। হঠাত্ৎ সেটি গোল্ডসবোরো এলাকায় ভেঙে পড়। সেই সঙ্গে পড়ে ওই বোমাদু’টিও। প্রথম বোমাটি নিষ্ক্রিয় থাকলেও, ঝামেলা বাধে দ্বিতীয় বোমাটিকে নিয়ে। বিস্ফোরণ ঘটার পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় এটির বোমাটির মধ্যে। বিস্ফোরণের জন্য প্রয়োজনীয় চারটি ধাপের মধ্যে তিনটিই পূর্ণ হয়ে যায়। প্রক্রিয়ার শেষ প্রান্তে ছিল ডায়নামো-চালিত কম ভোল্টেজের একটি স্যুইচ। ভাগ্যক্রমে সেটি কাজ করতে ব্যর্থ হয়, বেঁচে যায় যুক্তরাষ্ট্র। নইলে ভয়াবহ পরমাণু বিস্ফোরণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত নর্থ ক্যারোলিনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল!
১৯৬১ সালেই এক সরকারি সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী রাল্ফ ল্যাপ একটি বইয়ে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন। স্লোসারের লেখা বই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সায়েন্সটেক24.কম/ ডেস্ক নিউজ/ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩