সুপার গ্লুর সাথে পরিচয় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কোনো কাঁচের জিনিস ভেঙে গেলে কিংবা কোনো খেলনা ভাঙলেই আমরা ছুটে যাই দোকানে আর নিয়ে আসি এই সুপার গ্লু। কিন্তু এই সুপার গ্লু আসলে কিভাবে কাজ করে? চলুন জানা যাক আজ সেই কথা...
সুপার গ্লুর প্রধান উপাদান সায়ানোঅ্যাক্রিলেট, এর রাসায়নিক সংকেত C5H5NO2। সায়ানোঅ্যাক্রিলেট হলো এমন একটি অ্যাক্রিলিক রেসিন যা মুহূর্তের মাঝেই খুব শক্তিশালী বন্ধন গড়তে সক্ষম। তবে এক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে পানিতে বিদ্যমান হাইড্রক্সিল আয়ন। আর আমরা যে বস্তুতে এই গ্লু ব্যাবহার করি তার পৃষ্ঠদেশে বাতাসের আর্দ্রতার জন্য কিছু না কিছু পানি (বা জলীয়বাষ্প যাই বলি না কেন) থেকেই যায়। ফলে লাগানোর প্রায় সাথে সাথেই সুপার গ্লু তার কাজ করা শুরু করে দেয়।
এতক্ষণ তো বন্ধন জোড়া লাগানো নিয়ে জানা গেলো, এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে এই বন্ধন ভাঙা যায়।
হাতের দুই আঙুলে সুপার গ্লু লেগে যদি আঙুলই জোড়া লেগে যায় তবে কি করবেন? খুব সহজেই কিন্তু এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হালকা গরম পানিতে আপনার হাতটি কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর নিজ থেকেই আপনার আঙুল দুটি আলাদা হয়ে গেছে। তবে তখন গরম পানিতে হাত ডুবিয়ে আবার আঙুল টানাটানি করতে যাবেন না, কারণ তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে। তবে গরম পানির এই কৌশল কাজ না করলে গ্লু লেগে থাকা জায়গাটিতে অ্যাসিটোন (নেইল পলিশ রিমুভারেই থাকে) লাগাতে পারেন যা গ্লু ছাড়াতে সাহায্য করবে।
কিন্তু এই সুপার গ্লু কি শুধু ভাঙা জিনিস জোড়া লাগাতেই ব্যাবহার করা হয়? উত্তর অবশ্যই ‘না’। বরং এর রয়েছে আরো অনেক ব্যবহার।
ডেন্টিস্টরা সায়ানোঅ্যাক্রিলেটকে ডেন্টাল সিমেন্ট হিসেবে এবং দাঁত ফিলিং করানোর সময় ব্যবহার করে থাকেন। গবেষকরা বিভিন্ন ভঙ্গুর ফসিল জোড়া লাগানোর কাজেও সুপার গ্লু ব্যবহার করেন। এছাড়া কার্টিলেজ, চামড়া এবং হাড়ের ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রক্রিয়াতেও সুপার গ্লুর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার আছে।
সূত্রঃ জিরো টু ইনফিনিটি
সুপার গ্লুর প্রধান উপাদান সায়ানোঅ্যাক্রিলেট, এর রাসায়নিক সংকেত C5H5NO2। সায়ানোঅ্যাক্রিলেট হলো এমন একটি অ্যাক্রিলিক রেসিন যা মুহূর্তের মাঝেই খুব শক্তিশালী বন্ধন গড়তে সক্ষম। তবে এক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে পানিতে বিদ্যমান হাইড্রক্সিল আয়ন। আর আমরা যে বস্তুতে এই গ্লু ব্যাবহার করি তার পৃষ্ঠদেশে বাতাসের আর্দ্রতার জন্য কিছু না কিছু পানি (বা জলীয়বাষ্প যাই বলি না কেন) থেকেই যায়। ফলে লাগানোর প্রায় সাথে সাথেই সুপার গ্লু তার কাজ করা শুরু করে দেয়।
এতক্ষণ তো বন্ধন জোড়া লাগানো নিয়ে জানা গেলো, এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে এই বন্ধন ভাঙা যায়।
হাতের দুই আঙুলে সুপার গ্লু লেগে যদি আঙুলই জোড়া লেগে যায় তবে কি করবেন? খুব সহজেই কিন্তু এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হালকা গরম পানিতে আপনার হাতটি কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর নিজ থেকেই আপনার আঙুল দুটি আলাদা হয়ে গেছে। তবে তখন গরম পানিতে হাত ডুবিয়ে আবার আঙুল টানাটানি করতে যাবেন না, কারণ তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে। তবে গরম পানির এই কৌশল কাজ না করলে গ্লু লেগে থাকা জায়গাটিতে অ্যাসিটোন (নেইল পলিশ রিমুভারেই থাকে) লাগাতে পারেন যা গ্লু ছাড়াতে সাহায্য করবে।
কিন্তু এই সুপার গ্লু কি শুধু ভাঙা জিনিস জোড়া লাগাতেই ব্যাবহার করা হয়? উত্তর অবশ্যই ‘না’। বরং এর রয়েছে আরো অনেক ব্যবহার।
ডেন্টিস্টরা সায়ানোঅ্যাক্রিলেটকে ডেন্টাল সিমেন্ট হিসেবে এবং দাঁত ফিলিং করানোর সময় ব্যবহার করে থাকেন। গবেষকরা বিভিন্ন ভঙ্গুর ফসিল জোড়া লাগানোর কাজেও সুপার গ্লু ব্যবহার করেন। এছাড়া কার্টিলেজ, চামড়া এবং হাড়ের ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রক্রিয়াতেও সুপার গ্লুর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার আছে।
সূত্রঃ জিরো টু ইনফিনিটি
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন